
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ | ২:২৭ পূর্বাহ্ণ
দেশের প্রতিষ্ঠিত পরিবহন সংস্থা এস. আলম গ্রুপ কক্সবাজারে তাঁদের পরিবহন ব্যবসা সংকুচিত করা শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল ২২ জানুয়ারি থেকে কক্সবাজারে গ্রুপটির পরিচালনাধীন ৪টি বাস কাউন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়। ছাঁটাই করা হয়েছে ২২ জন কর্মীকে। যাঁদের প্রায় সবাই এক যুগের অধিক সময় ধরে কক্সবাজার জেলায় এস. আলম পরিবহনের বাস কাউন্টারে ম্যানেজার ও অফিস সহকারি পদে কর্মরত ছিলেন।
ছাঁটাইয়ের শিকার এক কাউন্টার ম্যানেজার এই প্রতিবেদককে বলেন, নাজিম উদ্দিনকে কক্সবাজার ইন-চার্জ উল্লেখ করে ২১ জানুয়ারি ভোরে চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়। এস.আলম পরিবহনের মানব-সম্পদ প্রশাসনের কর্মকর্তা মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই পত্রের অংশ হিসেবে বিকেলে চট্টগ্রাম অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি লালদিঘির পাড় কাউন্টারে এসে চাবি বুঝিয়ে দিতে বলেন। এরপরই চকরিয়া, ইদগাঁ, রামু, লিংক রোড এবং শহরের কলাতলী সড়কের তাহের ভবনে থাকা কাউন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়। দুই মাস আগে বন্ধ করে দেয়া হয় টেকনাফ কাউন্টার। পাশাপাশি ২২ জন কর্মচারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অথচ বিষয়টি আমাদের আগে জানানো হয়নি। সাময়িকভাবে অব্যাহতি প্রদানের কথা বলা হলেও চট্টগ্রামের মানুষ এনে কাউন্টার পরিচালনা করা হবে। এমন কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি।
যদিও এস.আলম পরিবহন লিঃ কক্সবাজারের ইন-চার্জ নুরুল আলম বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। গতকাল দৈনিক আজকের দেশবিদেশকে তিনি বলেন, স্থায়ীভাবে কাউকে ছাঁটাই করা হয়নি। সড়কে নতুন গাড়ি নিয়ে আসছে এস.আলম গ্রুপ। রাস্তায় নতুন গাড়ি না নামানো পর্যন্ত কয়েকটি কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। সাহেব (এস.আলম পরিবহন লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাইফুল আলম মাসুদ) দেশের বাইরে আছেন। তিনি এলে সমঝোতার ভিত্তিতে বিষয়টির সুরাহা করেন। নতুন করে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি বলেও দাবি করেন নুরুল আলম।
নাজিম উদ্দিনও বলেছেন একই কথা। গতকাল রাতে মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, কক্সবাজার Ñঢাকা রুটে এস. আলম পরিবহনের শুধুমাত্র ৩টি গাড়ি চলবে। এ কারণে কয়েকটি কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। কাউকে ছাটাই করা হয়নি। ২৮ জানুয়ারি সাহেব বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এলে বিষয়টির সুরাহা করবেন তিনি।