নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
মরিয়মের মৃত্যুর পর এনজিওতে কর্মরতদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। কোন্ মুহূর্তে ছাঁটাইয়ের শিকার হন তারা সেই চিন্তায় বিমর্ষ হয়ে পড়ছেন অনেকে। এমএসএফ (হল্যান্ড) থেকে ছাঁটাইয়ের শিকার হয়ে গতকাল শনিবার শাহজালাল নামে আরো এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ফলে যে কোন মুহূর্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, নিহত মরিয়মের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেখা দিচ্ছে নানা প্রশ্ন। তাঁর মৃত্যুর জন্য এমএসএফ’র পাশাপাশি দায়ী করা হচ্ছে কিছুদিন আগে ডিভোর্স হওয়ার স্বামীকে। গুঞ্জন উঠেছে, সালমা নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে মরিয়মের প্রাক্তন স্বামী। ওই পরকিয়ার জের ধরেই তাদের দীর্ঘদিনের সংসারে ফাটল ধরে। যা ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায়। মৃত্যুর একদিন আগে, সালমা হঠাৎ করে মরিয়মকে ফোন করে বিয়ের সংবাদ জানায়। এমনিতেই চাকরিতে ছাঁটাইয়ের শিকার, তারউপর যার কারণে সংসারে ভাঙ্গন তার এমন কথায় হতভম্ব হয়ে পড়ে মরিয়ম। দুই সন্তানের পাশাপাশি নিজের ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে অসুস্থ হয়ে পড়েন মরিয়ম। পরদিন মারা যান।
ছাঁটাইয়ের শিকার অকালপ্রয়াত এমএসএফ কর্মী মরিয়মের বাড়িতে গেছেন জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের দরগাহবিলস্থ তাঁর পৈত্রিক নিবাস গতকাল শনিবার সকালে যান তাঁরা। মরিয়মের বাড়িতে পৌঁছে তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি মানবতার নামে নিষ্ঠুর পন্থা অবলম্বন করে কাউকে চাকরি থেকে বিতাড়ন না করার জন্য আইএনজিও গুলোর প্রতি আহবান জানান। এ সময় মৃত মরিয়মের দুই সন্তান তাদের পিতার বাড়িতে ছিলো।
উল্লেখ্য, এমএসএফ থেকে ছাঁটাইয়ের সংবাদ শুনে ১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অকালে মৃত্যুবরণ করেন মরিয়ম নামে এক কর্মী।
Posted ১:০৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh