মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম।
আটকরা হলেন, চকরিয়া বড়পুকুরিয়া এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম (২০), লোহাগাড়া চুনতি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (৩৬), উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প-২ এর বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে মো. হোসেন (৩১) ও মহেশখালী কালারমারছড়া এলাকার আলী আহম্মদের ছেলে আবু হেনা হানিফ (৩৩)।
র্যাব-১৫ অধিনায়ক জানান, গেল ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে রামুর রামুর খুনিয়াপালংয়ের পূর্ব ধেচুয়াপালং সড়কের পাশে অজ্ঞাত এক কিশোরের লাশের সন্ধান মিলে। তার শরীরে বিভিন্ন ছুরিকাঘাতের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং ধারণা করা হয়, দুর্বৃত্তরা ওই কিশোরকে উপর্যুপরি আঘাত করে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়। কিন্তু নিহত কিশোরের পরিচয়, কে বা কারা এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে তা তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি। পরে র্যাব-১৫ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে।
নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তার বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রামু থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা করার মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় র্যাব-১৫ ঘটনায় জড়িত এক রোহিঙ্গাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম জানান, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ইজিবাইক ছিনতাই চক্র। আসামী নুরুল ইসলাম ও ভিকটিম মো. ওয়ায়েজ একে অপরের বন্ধু। দুজনেই পেশায় ইজিবাইক চালক। গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নূরুল ইসলাম ও আবু হেনা হানিফ ভিকটিম মো. ওয়ায়েজের ইজিবাইকে করে সমিতিপাড়া থেকে মরিচ্যা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এরপর রাত পৌনে ১১টার দিকে নুরুল ইসলাম ও আবু হেনা হানিফ মরিচ্যার খুনিয়াপালং এলাকায় রামু-মরিচ্যা রোডের পাশে ইজিবাইক দাঁড় করিয়ে চালক ওয়ায়েজকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইজিবাইকটি ছিনতাই করার চেষ্টা করে। কিন্তু ওয়ায়েজ তাতে বাধা দেওয়ায় দুজনে মিলে তাকে মারধর করে এবং উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে জমিতে ফেলে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, নুরুল ইসলাম আন্তঃজেলা ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের মূলহোতা মো. আরিফ হোসেনের সঙ্গে ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি বিক্রি করার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরামর্শ করে। এরপর নুরুল ইসলাম ও আবু হেনা হানিফ ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি অপর দুই আসামী মো. আরিফ হোসেন ও মো. হোসেন (রোহিঙ্গা) এর নিকট জমা দিয়ে চলে যায়। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আবু হেনা হানিফ অনুশোচনা করে নিজের ভুল স্বীকার করে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।