| রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত উখিয়ার উপকূলীয় জনপদ মোহাম্মদ শফির বিল এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি পাচার করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে উপকূলবাসীর জানমাল রক্ষায় প্রকৃতির সৃষ্ট এ বিশালাকার পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে নির্বিচারে কর্তন পূর্বক মাটি পাচারের ফলে পরিবেশের মারাত্মক অবনতি হচ্ছে। এনিয়ে অভিযুক্ত ভিলেজার ও বনকর্মকর্তার পরস্পর বিরোধী অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন ঘটনাস্থল জালিয়াপালং ইউনিয়নের সৈকত সংলগ্ন এলজিইডি সড়ক ঘেষে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠা উপকূল ঘুরে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বিস্তৃত পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছে। এসব মাটি মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন হোটেল মোটেল নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রাকৃতিক দূর্যোগে জ¦লোচ্ছাসের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ পাহাড় অনবদ্য ভূমিকা রেখে আসছে। নির্বিচারে মাটি কর্তনের ফলে পুরো উপকূলবাসীর জানমালের নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি পরিবেশের মারাত্মক অবনতি হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, মোঃ শফির বিল গ্রামের এলজিইডি সড়কের পাশের্^ বসবাসরত মোফাফ্ফর আহমদের ছেলে সালামত উল্লাহ পাহাড়ের মাটি কেটে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজে সরবরাহ করছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য মাটি কাটার অংশে কলা ও সুপারি গাছের ডাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে অভিযুক্ত সালামত উল্লাহ জানান, ইনানী বন রেঞ্জ কর্মকর্তা তার কর্মচারীদের দিয়ে এসব মাটি কর্তন করছে। তাই মাটি কাটার কাজে বাঁধা দেওয়ার মতো কোন অবকাশ ছিল না। একই কথা বললেন, স্থানীয় মোহাম্মদ আলম, আব্দুছ ছালাম ও হাছান আলী।
ইনানী বনরেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেকের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ওই মাটি তিনি কর্তন করেননি বা কে বা কারা কর্তন করেছে তা জানেন না। জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, ইনানী বন বিভাগের নৈতিক দায়িত্ব এলজিইডি সড়ক সংলগ্ন এলাকা দিয়ে গড়ে উঠা বিশালাকার পাহাড় রক্ষা করা। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে উপকূলীয় এলাকাবাসীকে জানমাল রক্ষায় দূর্যোগ ঝুঁকিতে অনিরাপদ বসবাস করতে হবে।
Posted ১২:১৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh