দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯
বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় ইংলিশরা। ইংলিশদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের। পুরো আসরে ভালো খেলার পর ফাইনালেও বাজিমাত করেছেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে তার সতীর্থরা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিয়েছিলো তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে ৯৮ বল থেকে খেলেন ৮৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
এরপর সুপার ওভারেও তিন বল মোকাবেলা করে নেন ৮ রান। যে কারণে ম্যান অব দ্য ফাইনালও নির্বাচিত হয়েছেন স্টোকস।
অথচ, এই বিশ্বকাপ খেলারই কথা ছিল না স্টোকসের। এখন তার থাকার কথা ছিল জেলে কিংবা দলের বাইরে। সেই ব্যাড বয় স্টোকস এখন ইংল্যান্ডের নয়নের মণি।
কিছুদিন আগেও স্টোকস শিরোনামে আসতেন কোনো না কোনো অপকর্ম করে। খ্যাপাটে এই অলরাউন্ডার প্রায় নিয়মিতই প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে মাঠেই বিবাদে জড়িয়ে পড়তেন। এসবের ধারাবাহিকতায় স্টোকস বড় অন্যায় করে বসেন ২০১৭ সালে।
ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সময় ব্রিস্টলে নাইটক্লাবের বাইরে মারামারি করে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। সেই মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জাতীয় দলে নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। পেতে হয়েছে শাস্তি।
এসব কারণে ওই সময় মনে করা হয়েছিল, এই প্রতিভাবান অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ারটাই বুঝি শেষ হয়ে গেল! মারামারির ঘটনা পরিক্রমার মাঝেই বিয়ে করেন স্টোকস।
এরপরেই তার জীবন যেন পাল্টে যায়। পাল্টে যায় আচরণ। যার ভেতরে এত প্রতিভা, সে কি হারিয়ে যেতে পারে? তাই আবারও দুর্দান্তভাবেই জাতীয় দলে ফিরে আসেন স্টোকস। মারামারির ঘটনার নিস্পত্তি না হলে হয়তো তাকে এখন জেলে থাকতে হতো। সেই স্টোক এখন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের মহানায়ক।
Posted ১০:২১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh