| সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০
আয়ুবুল ইসলাম
ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত, ইউরোপিয়ান কমিশনের আর্থিক সহযোগিতায় “ আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ ” প্রকল্পের অধীনে ৩০ নভেম্বর কক্সবাজারের কলাতলিতে অবস্থিত হোটেল প্রাইম পার্কে এক দিন ব্যাপি আর্টিমিয়া চাষের পুকুর প্রস্তুতি এবং নকশা প্রনয়নের প্রশিক্ষণ” শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার প্রাইস ।
উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার মূল বক্তা এবং প্রশিক্ষক ভিয়েতনামের কান্থো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এনগুইন ভ্যান হোয়া এবং প্রশিক্ষণ সহায়তাকারী বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. প্যাট্রিক সরগিলস অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আর্টিমিয়া চাষের ভূসংস্থান, সাধারণ বাতাসের দিক, মাটির বৈশিষ্ট্য, গুণাগুন ও গঠন, জলবায়ুর অবস্থা, জলবায়ু-বান্ধব আর্টিমিয়ার একক এবং সমন্বিত (লবন-মাছ-আর্টিমিয়া) চাষ পদ্ধতির পুকুরের নকশা প্রনয়ন ও প্রস্তুতি, চুন প্রয়োগ, সার দেয়া পুকুর এবং আর্টিমিয়া পুকুর প্রস্তুতির বিজ্ঞান ভিত্তিক টেকসই উপায় তুলে ধরেন্।
উক্ত প্রকল্পের টিম লিডার ড. মুহাম্মদ মীজানুর রহমান তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, আর্টিমিয়া হল এমন এক ধরনের জলজ ক্ষুদ্র জীব যা অধিক ঘনত্বের লবণ পানিতে চাষ করা হয় এবং সারাবিশে^ এটি মৎস্য ও চিংড়ি হ্যাচারিতে লার্ভার জীবন্ত খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর চিংড়ি হ্যাচারিতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে যে ৪০ মে. টন আর্টিমিয়া আমদানি করা হয়। এই প্রকল্পের অধীনে লবণ খামারে লবণ ও আর্টিমিয়া চাষের মাধ্যমে চাষিরা অধিক লাভবান হবে এবং দেশে আর্টিমিয়ার চাহিদা পূরনে আমদানি নির্ভরতা কমবে। এশিয়ার অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে আর্টিমিয়া চাষ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে লবণ চাষিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাছ চাষে অধিক উৎপাদন সম্ভবপর হবে। ” আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ” প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যগুলো হল; লবণ এবং আর্টিমিয়ার সমন্বিত উৎপাদন ব্যবস্থা চালু করা এবং লবণ খামারে সামুদ্রিক মৎস্য চাষের উৎপাদন ও এর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি তিনি প্রফেসর হোয়া এবং প্রফেসর প্যাট্রিক সরগিলস এর প্রশিক্ষণকে বাংলায় অনুবাদ করেন।
ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ এর সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. বিনয় কুমার বর্মন প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনি বক্তব্যে বলেন আর্টিমিয়া চাষের ক্ষেএে উপযুক্ত পুকুর প্রস্তুতি ও নকশা প্রনয়ন অতীব জরুরী। তিনি এই প্রকল্পের কার্যক্রমে বিদেশী গবেষণা প্রতিষ্ঠান, দেশীয় সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা ও অন্যন্য অংশীজনের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম টেকসই ও সাফল্যমন্ডিত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
উক্ত কর্মশালায় কক্সবাজার জেলার মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন, সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট বেসরকারী সংস্থার (নিরিবিলি ফিশারিজ লিমিটেড, সুশীলন, প্রত্যাশী) কর্মকর্তাবৃন্দ, গনমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ এবং “আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ” প্রকল্পের সকল গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার শেষে সকলেই ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ কে সময় উপযোগী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ প্রদান করেন।
Posted ১০:৩৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh