কক্সবাজারে তৃতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাবে ১৪৬৩ গৃহহীন পরিবার

তারেকুর রহমান | সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

কখনো আশা করেনি নিজের ঘরে ছেলে মেয়েদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করবে, স্বপ্ন দেখেনি কখনো নিজের পাকা ঘরে বসবাস করবে। গৃহহীনদের সেই স্বপ্ন এবং আশাকে বাস্তব করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের ঈদুল ফিতরের আগে ৩২৯০৪ টি নতুন জমিসহ নতুন ঘর দেয়া হচ্ছে। গৃহহীন ৩২৯০৪টি পরিবার ঈদ আনন্দ উদযাপন করবে নিজের ঠিকানায় নিজের ঘরে। একইভাবে কক্সবাজার জেলায় ১৪৬৩ টি গৃহহীন পরিবারও জমি ও ঘর পেয়ে ঈদের আনন্দে মেতে উঠবেন।

মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে তৃতীয় পর্যায়ে ঘর পাবে ১৪৬৩ গৃহহীন পরিবার। এরমধ্যে আগামী ২৬ এপ্রিল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন ৮৬৭ পরিবারকে গৃহ ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হবে। ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থেকে এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, তৃতীয় পর্যায়ে কক্সবাজার সদরে ঘর ও জমি বরাদ্দ পাবে ২৭০ গৃহহীন পরিবার, চকরিয়া উপজেলায় ২৫০ পরিবার, পেকুয়া উপজেলায় ৭১ পরিবার, রামু উপজেলায় ৪০০ পরিবার, মহেশখালী উপজেলায় ৪০ পরিবার, উখিয়া উপজেলায় ২৬৩ পরিবার, টেকনাফ উপজেলা ১১০ পরিবার, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৫৯ পরিবার।

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে সম্পূর্ণভাবে নির্মিত ঘরের সংখ্যা ২২৯০ টি, উদ্বোধন হয়েছে এমন ঘরের সংখ্যা ১৪২৩ টি এবং ২৬ এপ্রিল উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত ৮৬৭ টি ঘর।

কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় জানান, বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ কার্যক্রমের সঙ্গে কক্সবাজার সদর প্রথম থেকেই যুক্ত আছে। ২ শতাংশ জমিতে ২ রুমের পাকা ঘরের সঙ্গে রান্নাঘর, বাথরুম, ও একটি বারান্দা। প্রত্যেক ঘরে ঘরে জ্বলবে বিদ্যুতের আলো। থাকবে বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল।

ইউএনও আরো জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলায় হালনাগাদকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা (ক শ্রেণী) ১০৫৯টি। ২০২০-২১ অর্থবছরে নির্মিত গৃহের সংখ্যা ১৪৮ টি, ২০২০-২২ অর্থবছরে নির্মাণাধীন গৃহের সংখ্যা ২৭০টি এবং ২০২২ সালে সম্পন্ন হবে ৬৪১টি গৃহ।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জোবায়ের হাবিব, মুনমুন পালসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।