তারেকুর রহমান | বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সাত দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শহরে জীবনযাত্রা আরও স্বাভাবিক হয়ে গেছে। বিধিনিষেধ থাকলেও তা মানতে দেখা যায়নি অনেককেই।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) পুলিশ প্রশাসন মাঠে নামায় লোকজন মাস্ক ব্যবহারে অনেকটা সচেতন হলেও দোকান-পাটে চলছিল রীতিমতো বেচাকেনা। প্রথমদিনে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও দ্বিতীয় দিনে খোলা অনেক দোকান। লকডাউন কার্যকরে পুলিশ মাঠে থাকায় লোকজনের জনসমাগম সকাল বেলায় কম দেখা গেলেও বিকেলে চলাফেরা স্বাভাবিক ছিল।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রিকশা, সিএনজি, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক (টমটম) মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। অফিসগামী অনেককে দেখা গেছে রিকশা ও মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে।
বিভিন্ন গলিতে সবজি, মাছ ও মুরগি বিক্রেতারা অন্য দিনের মতোই বেচা-বিক্রি করছেন। কানাইয়া বাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রথমে রাস্তায় ভ্যান নিয়ে ছিলাম। পরে পুলিশ দেখে বাজারের দিকে চলে আসলাম।’
বড়বাজার এলাকার শওকত আলী নামে এক মুদি দোকানি জানান, লকডাউন তাদের জন্য নয়। তারা নিয়ম মেনেই ব্যবসা করছেন।
সকালে পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান পৌরসভা মার্কেট এলাকা থেকে গুমগাছ তলা এলাকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন। তাঁর নেতৃত্বে জনসচেতনা পথচারীর মাঝে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এসব জায়গায় জনসমাগম কমানোর চেষ্টা করছি। বাজারের ভেতরে দোকানদার ও ক্রেতা যারা আছেন তারা যেন মাস্ক পরেন সে বিষয়টি দেখভাল করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছি লকডাউনের সুফল জনগণকে বুঝানোর।’ নিত্যপ্রয়োজনীয় ছাড়া সব ধরনের দোকান পাট বন্ধ থাকবে।’
প্রধান সড়ক সংলগ্ন এলাকায়ও দোকানপাট খোলা রেখেছেন অনেকেই। মিষ্টির দোকান, ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকান ছাড়াও খোলা ছিল সুপার শপ। তবে তারা দোকানের শাটার অর্ধেক নামিয়ে ভেতরে বেচা-কেনা করছেন।
Posted ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh