এম.আর মাহবুব | মঙ্গলবার, ০৯ এপ্রিল ২০১৯
২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে জেলায় পিডিবি’র প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসছে। এতে করে গ্রাহকদের বিল পরিশোধের জন্য ব্যাংকে দৌড়া-দৌড়ি করতে হবে না। এছাড়া রিডিংয়ের জটিল হিসেব- নিকেশ, ওভার বিলিং, আন্ডার বিলিং থেকে মুক্তি পাবে জেলার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ থেকে বিদ্যুৎ সুবিধা নেয়া ৯০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক। কক্সবাজার পিডিবি’র গ্রাহকরা প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসলে বিদ্যুৎ কর আদায়ে অনেক গতি পাবে বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবে কক্সবাজার পিডিবি।
এদিকে কক্সবাজার বিদ্যুৎ’ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদের গণি আজকের দেশবিদেশকে জানান- কক্সবাজার পিডিবি’র আওতায় কক্সবাজার শহর, সদর, রামু, কুতুবদিয়া ও পার্বত্য উপজেলা লামায় পিডিবি’র প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। তৎমধ্যে শুধু কক্সবাজার শহর ও শহরতলীতেই ৪৩ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। বর্তমানে গ্রাহকের কাছে থাকা ডিজিটাল, এনালগ মিটার গুলো আগামী ৬ মাসের মধ্যেই প্রি-পেইড মিটারে রুপান্তরের উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। কাজটি সম্পন্ন হলে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের কষ্ট অনেকাংশে লাঘব হবে। গ্রাহকরা নির্ধারিত ব্যাংকিং সেন্টারে অথবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই প্রি-পেইড রিচার্জ সেবা নিতে পারবে। আর যে সমস্ত গ্রাহকরা নিজেদের মিটারে প্রি-পেইড রিচার্জ করবেন না তারা বিদ্যুৎ সুবিধা পাবেন না। এতে করে গ্রাহকের বৈদ্যুতিক বকেয়া বিলের হিসেব বলে আর কিছুই থাকবে না।
কক্সবাজার বিউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিয়াজুল হক জানান-কক্সবাজার পিডিবি’র গ্রাহকরা নিজস্ব মোবাইলের মাধ্যমে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা নিজেদের মিটারে প্রি-পেইড রিচার্জ করতে পারবে। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা সদরের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটারের আওতায় এনেছে পিডিবি।
Posted ১:৩১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ এপ্রিল ২০১৯
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh