শফিক আজাদ,উখিয়া | বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে এক শ্রেণী অতি লোভী রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছেড়ে পালালোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। অথচ রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ ও ক্যাম্প থেকে পালানো রোহিঙ্গা প্রতিরোধে সড়ক পথে বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর বিশেষ চেকপোস্টে অভিযান চলমান থাকলেও রোহিঙ্গারা কিভাবে ক্যাম্প ছাড়ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশিষ্টজনেরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুলিশ উখিয়া স্টেশনে যাত্রীবাহী গাড়ি তল্লাশী চালিয়ে ১৪জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে।
ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় মিয়ানমারে ফেরা নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দেওয়ায় বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য করে সচ্ছল হয়ে উঠা রোহিঙ্গারা বিদেশ পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে ক্যাম্প ছেড়ে পালাচ্ছে। আবার অনেকেই দেশের শিল্প কারখানায় চাকরির লোভে দালালের মাধ্যমে ক্যাম্প ছাড়ছে। ২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে ক্যাম্প ছেড়ে পালানোর সময় আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
উখিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রভাত কর্মকার জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ভাষাগত দিক, আচার-আচারণ, পোশাক পরিচ্ছদ স্থানীয়দের সঙ্গে মিল থাকার কারণে অনেক সময় তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছেন। তবে মঙ্গলবার সদর স্টেশন এলাকায় বেশ কয়েককটি যাত্রীবাহী গাড়ি তল্লাশি করে ১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তবে আটককৃত এসব রোহিঙ্গাদের স্বস্ব ক্যাম্প মাঝির জিম্মায় ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিশিষ্টজনদের অভিমত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে উখিয়া টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। সরকার ছাড়াও ১৭৫টি এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে। উদ্বৃত ত্রাণসামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি করে তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়ে উঠেছে। এতে উন্নত জীবনের আশায় ক্যাম্পে বাইরে যাওয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
Posted ১:২২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh