| রবিবার, ২২ আগস্ট ২০২১
সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী- ছড়িবিল সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করছে। নির্বিচারে বালির ট্রাক চলাচলের কারনে সড়ক ও ছড়া তীর সংলগ্ন এলাকার বিপুল পরিমাণ জনবসতি, আবাদি জমি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে।
বালি ভর্তি ট্রাক- ডাম্পারের বেপরোয়া চলাচলে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সড়কের একাধিক পয়েন্ট। এ অবস্থার ফলে চরম পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইউনিয়নের খুটাখালী ছড়ার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলনে জড়িতরা ক্ষেত্র-বিশেষে ক্ষমতাসীনদের নাম ভাঙ্গিয়ে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে বাণিজ্য। বর্তমানে ছড়া তীর এলাকায় কেউ কেউ মেশিন বসিয়ে আবার কেউ সরকারি খাস কিংবা ব্যক্তি মালিকনাধীন জমি দখল করে অব্যাহত রেখেছে বালু লুটের কর্মযঞ্জ।
এ অবস্থায় বালু উত্তোলন এলাকায় খুটাখালী ছড়ার বাঁক পরিবর্তন হয়ে ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ছড়ার গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে সড়ক, ফসলী জমি, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্টান, শিক্ষা ও ধর্মীয় উপসানালয়। ইতোমধ্যে ছড়াতে সহায় সম্পদ হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে পাহাড়ে।
তবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার কোন পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে ছড়ার তীর এলাকার মানুষের মাঝে নতুন করে বেড়েছে আতঙ্ক।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, খুটাখালী ছড়ার পাশে জয়নগরপাড়া-চড়িবিল-গোলডেবা থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমে ফরেস্ট অফিসপাড়া, জলদাশ পাড়া, রাবারড্যাম,খাসঘোনা এলাকার বিভিন্ন স্থানে মেশিন বসিয়ে একাধিক চক্র বালু উত্তোলন কাজে জড়িত রয়েছে।
এসব বালু প্রতিদিন শত শত ডাম্পার,মিনি ট্রাক যোগে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বালু লুটরা উত্তোলন অব্যহত রয়েছে।
এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন, ছড়া থেকে উত্তোলনকৃত বালু নিয়ে ডাম্পার,মিনিট্রাক গাড়ি গুলো গন্তব্যে যাওয়া-আসা করতে গিয়ে চড়িবিল- সেগুনবাগিচা সড়কসহ এলাকার বেশিরভাগ গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হচ্ছে।
এতে সড়ক গুলো চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা। অপরদিকে এসব সড়কে বালু বোঝাই গাড়ির বেপরোয়া চলাচল করার সময় নানা ধরণের দূর্ঘটনাও ঘটছে।
সুত্র জানায়, উপজেলার খুটাখালীতে অন্তত ৩টি বৈধ বালু মহাল রয়েছে। এসব বালু মহাল প্রতিবছর সরকারিভাবে ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু খুটাখালী ছড়ার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে বালু মহাল গুলোতে বেচাবিক্রির ধস নেমেছে।
খুটাখালী ছড়া থেকে অবশ্য বালু উত্তোলন করা যায়। তা করতে হবে ছড়ার মাঝ পয়েন্ট থেকে। তবে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে জড়িতরা তা না করে বালু উত্তোলন করছেন ছড়ার তীর এলাকা থেকে। এরই ফলে ছড়ার তীর এলাকার মানুষ গুলি হারাচ্ছে তাদের বাপ-দাদার বসতভিটাসহ মূল্যবান সম্পদ।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন,ছড়া তীরবর্তী বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়।
তাছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে সেলো মেশিন ও পাইপ জব্ধ করা হয়েছে। বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এডিবি/জেইউ।
Posted ৯:১৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২২ আগস্ট ২০২১
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh