সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁহ | রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯
চকরিয়া উপজেলার সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের বাজার খুটাখালীতে বৃষ্টির পানিতে জলমগ্ন হয়ে জমে থাকে হাঁটু পানি। সুষ্ট ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের অসহনীয় দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
গতকাল শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে এমনতর পরিস্থিতি দেখে মনে হয় বাজারের বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নেই! বিশাল রাজস্ব আয়ের এ বাজারটির এহেন দূরবস্থার বিষয়গুলো ভূক্তভোগীরা উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বার বার অবহিত করা সত্বেও কোন অগ্রগতি হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে চলতি বছরে বাজার উন্নয়নে তেমন কোন পদক্ষেপও চোখে পড়েনি।
জানা গেছে ,সরকারী নিয়ম অনুযায়ী বাজারের নিলামকৃত অর্থের সিংহভাগ টাকা বাজার উন্নয়ন খাতে ব্যয় করার নিয়ম থাকলেও তা এক্ষেত্রে মানা হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন সাবেক মেম্বার শফিকুর রহমান।
বর্তমানে খুটাখালী বাজারের হাফেজখানা সড়ক, পার্শ্ববর্তী মাইজপাড়া এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে জলাবদ্ধতায় পানি বাহিত রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বাজারসহ এলাকাবাসী এমনতর অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন আ’লীগ সহ সভাপতি বাহাদুর হক।
এ ছাড়াও এ বিশাল বাজারটিতে দূর-দুরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতাদের পানীয় জলের কোন ব্যবস্থা নেই এমনকি নেই পাবলিক টয়লেটও। এ সব সমস্যা দীর্ঘদিন থেকে বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা ভোগ করে আসছে। অন্যদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নির্মিত কসাইখানায়, মাছ বাজারে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জবাইকৃত গো-মহিষের জমাট বাধা রক্ত, মাছের দুষিত পানি চারিপাশে পড়ে থাকে। এসমস্থ পচাঁ দূর্গন্ধে এলাকায় লোকজনের বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে দাবী করেন খুটাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোস্তাক আহমদ। তিনি বলেন শুধু তাই নয় ওই এলাকার এ নোংরা পরিবেশের কারনে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে খুটাখালী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শফিউল আলম বলেন, আমার পরিকল্পনা রয়েছে বাজারটিকে সৌন্দর্য করে গড়ে তুলার জন্যে। এছাড়া বাজারের প্রধান প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিতও করা হয়েছে। সম্প্রতি বাজারে কিছু উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। ড্রেনের প্রসস্থ ও রাস্তা উঁচু করার জন্যে তিনি চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও চকরিয়া-পেকুয়ার এমপি’র হস্থক্ষেপও কামনা করেন।
Posted ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh