মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া | বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯
টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করে চকরিয়ার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মাতামুহুরী নদীতে পানি কমলেও লোকালয়ে প্রবেশ করা পানি নদীতে বের হতে পারছেনা। ছড়াখাল ও নদী অত্যধিক ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি ও ঢলের পানি ভাটির দিকে নামতে পারেনি। ফলে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রামে ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় কাবু হয়ে রয়েছে। এতে পানিবন্দি রয়েছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। পাশাপাশি ওইসব ইউনিয়নের গ্রামীন রাস্তাগুলো পানি নিচে থাকায় যোগাযোগে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, হারবাং, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। ওই গ্রামগুলোর সড়কও পানির নিচে রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এদিকে বৃষ্টি কমে আসায় মাতামুহুরী নদীর পানিও বিপদ সীমার নিচে নেমে গেছে। তবে, ছড়াখাল দিয়ে জমে থাকা পানি বের হতে না পারায় জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি রয়েছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। আবারও অতি বৃষ্টিপাত হলে বন্যার আশংকা করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, আমােেদর ইউনিয়নগুলো মাতামুহুরী নদী সংলগ্ন। নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে অধিকাংশ গ্রামে ঢলের পানি প্রবেশ করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা-ঘাটসহ অধিকাংশ বসতঘরে পানি উঠেছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সার্বক্ষণিক এলাকার খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আবারও বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলে মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
Posted ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh