দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ০৭ আগস্ট ২০১৯
জিম্বাবুয়েতে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশই খাদ্যসংকটে ভুগছে। এদের অনেকেরই অনাহারে থাকার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বুধবার (৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জিম্বাবুয়েতে সাম্প্রতিক খরা, সাইক্লোন ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ৩শ’ ৩১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহের আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
একসময়ের খাদ্যশস্যে ভরপুর জিম্বাবুয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন সঙ্কটে ভুগছে। সাম্প্রতিক খরার কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাপক হারে কমেছে। খাবারের দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
নাব্য সঙ্কটে ভুগছে কারিবায় অবস্থিত দেশটির প্রধান জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর প্রভাব পড়েছে সারাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায়। এরই মধ্যে বিভিন্ন অঞ্চল পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
শুধু পানি ও খাবার সংকটই নয়, অর্থনৈতিক ভাবেও চরম সঙ্কটাপন্ন মুহূর্ত পার করছে আফ্রিকান দেশটি। ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির কারণে এক দশক আগে বাতিল করে দেওয়া জিম্বাবুইয়ান ডলার ফের চালু করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির সরকার।
জিম্বাবুয়ের চলমান সঙ্কট নিরসনে তহবিল সংগ্রহের ঘোষণা দিয়ে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ডব্লিউএফপি প্রধান ডেভিড বিসলে বলেন, সেখানকার প্রায় ২৫ লাখ মানুষ অনাহারের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এমন এক খরার মুখোমুখি, যা দীর্ঘদিন দেখা যায়নি।
চলতি বছরের শুরুতে সাইক্লোন ইদাই আঘাত হানার পর জিম্বাবুয়ের সঙ্কট আরও বেড়ে যায়। ভয়াবহ এ ঝড়ে প্রায় ৫ লাখ ৭০ হাজার জিম্বাবুইয়ান নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হন, গৃহহীন হয়ে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।
গত সপ্তাহে দেশটির অর্থমন্ত্রী এমথুলি এনকিউব জানান, এবছরের জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে অন্তত সাড়ে সাত লাখ পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছে সরকার।
গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দেশজুড়ে চলমান খরা পরিস্থিতিকে জাতীয় দুর্যোগ বলে ঘোষণা করেছেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া।
জাতিসংঘ অবশ্য আগেই জিম্বাবুয়েকে সহায়তার জন্য ২শ’ ৯৪ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছিল। সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশজুড়ে খরা ছড়িয়ে পড়ায় তাদের সহযোগিতায় আরও অর্থের প্রয়োজন।
Posted ১০:৩৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ আগস্ট ২০১৯
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh