সাইফুল ইসলাম | শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮
সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলায়ও এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। গতকাল ১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। কক্সবাজার জেলায় এ বছর পাসের হার এবং জিপিএ-৫ কমেছে। আলিমে পাশের হার সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কমেছে জিপিএ-৫। অনেক উপজেলার মাদ্রাসাগুলোতে ১জনও জিপিএ-৫ পায়নি। এ বছর জেলায় এইচএসসিতে ধারাবাহিকভাবে মারাত্বক ফল বিপর্যয় ঘটেছে। ফলাফল প্রকাশের পর হতবাক হয়েছে অনেক পরীক্ষার্থী। জেলার ২৩টি কলেজের মধ্যে আবারো শ্রেষ্ঠত্বের আসন ধরে রেখেছে কক্সবাজার সরকারি কলেজ। এ কলেজ থেকে ৯২২ জনে পাশ করেছে ৮৩৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন। পাশের হার ৯০.৬৭ শতাংশ। এরমধ্যে বিজ্ঞানে ২৩ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ৮ জন এবং মানবিকে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। জেলায় ১০৪২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৬৪২৭ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩৯৭৮ জন। পাশের হার ৬১.৬৬ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৬.২৮ শতাংশ বেশি। গত বছর পাশের হার ছিল ৫৫.৩২ শতাংশ। অতিমাত্রায় ফেসবুক আসক্তি এবং সৃজনশীল পদ্ধতির সাথে পরীক্ষার্থীদের ভীতি দুর না হওয়ায় ফল বিপর্যয়ের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল প্রকাশিত ফলাফলে জেলার ২৩ কলেজ থেকে ৪৫৩২ জন ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে পাশ করেছে ২৭২৪ জন। ছাত্রের পাশের হার ৬০.১১ শতাংশ। অপরদিকে জেলায় ৫৮৯১ জন ছাত্রীর মধ্যে পাশ করেছে ৩৭০৩ জন। ছাত্রীদের পাশের হার ৬২.৮৬ শতাংশ। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ছাত্রদের চেয়ে পাশের হারে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এইচএসসিতে কলেজ ভিত্তিক ফলাফল- কক্সবাজার সরকারি কলেজের ৯২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৮৩৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন ও পাশের হার ৯০.৬৭, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের ১০০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৭৯০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন, পাশের হার ৭৮.৪৫, কক্সবাজার সিটি কলেজের ১০৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৭৪৯ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৭১.০০, কক্সবাজার কমার্স কলেজের ১৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৯৩ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৬০.০০, কক্সবাজার হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের ১৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৯০ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৫০.০০, ঈদগাহ ফরিদ আহমেদ কলেজের ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৬৩ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৪৩.৫৮, রামু কলেজের ৬১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪০৪ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৬৫.৮০, চকরিয়া কলেজের ৭২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৮৯ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ২৬.০৩, চকরিয়া মহিলা কলেজ (আবাসিক) এর ৬৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪৫২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন ও পাশের হার ৬৯.৮৬, চকরিয়া সিটি কলেজের ১০৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪২ জন, কেউ জিপি-৫ না পেলেও পাশের হার ৪০.০০,
চকরিয়া কমার্স কলেজের ৭৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩৭ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৫০.০০, ডুলাহাজারা কলেজের ৭৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫২৩ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৬৬.১২ শতাংশ; বদরখালী কলেজের ২৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১১৭ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৪৩.৮২ শতাংশ; পেকুয়া’র শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের ৩৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২৪২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন ও পাশের হার ৬৪.১৯ শতাংশ; মহেশখালী কলেজের ৬৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩৭৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন ও পাশের হার ৫৪.৫৬, বড় মহেশখালী’র বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ১৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১১৬ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৭০.৩০, হোয়ানক কলেজের ৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪৫ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৪৬.৩৯ শতাংশ;
কুতুবদিয়া কলেজের ৫৮৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩৯৮ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৬৮.২৭, কুতুবদিয়া মহিলা কলেজের ৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ১৩.৫১, উখিয়া কলেজের ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২০৬ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৩৪.৬৮, উখিয়া’র বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের ৫৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩৬৮ জন, কেউ জিপি-৫ না পেলেও পাশের হার ৬২.৮০, টেকনাফ কলেজের ২৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৯৮ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৩৮.৪৩ এবং হ্নীলা’র মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের ১২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৮৭ জন, কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৭১.৯০। এদিকে মাদ্রাসাসমূহ থেকে ২ হাজার ৩৯৩ ছাত্র/ছাত্রী আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে পাশ করেছে ১ হাজার ৯৭৭ জন। পাশের হার ৮২.৬১ শতাংশ।
Posted ৬:০৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh