ইকরাম চৌধুরী টিপু ,কক্সবাজার | রবিবার, ১০ জুন ২০১৮
ঝড়ের কবলে পড়ে কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে মাছ ধরার ১৬টি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। নিহত হয়েছে ১ জেলে। শতাধিক জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত অন্তত ২০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার জেলেদের মধ্যে ১৩ জনকে আহতাবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আজ ভোর রাত থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত সমুদ্রের শৈবাল, কলাতলী পয়েন্ট ও মাঝ সাগরে এসব ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। নিহত জেলে আব্দুস শুক্কুর কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফদন্ডীর অছিউর রহমানের ছেলে।
তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মগে রাখা হয়েছে। রবি লাইভ গার্ড কর্মী রাশেদুল ইসলাম জানান, সকালে সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকায় ১টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এই দৃশ্য দেখে ৫ জন লাইভ গার্ড কর্মী দ্রুত জেলেদের উদ্ধার করে। এ সময় উদ্ধার করা ১০ জন জেলেদের মধ্যে আব্দুস শুক্কুরের অবস্থা আশংকাজনক ছিল। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ জানান, লঘুচাপের কারণে ঝড়ের কবলে পড়ে সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ১৬টি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ১ জেলে নিহত সহ শতাধিক জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত অন্তত ২০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ বোটের কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডীর বাবুল কোম্পানিার একটি, ফখরুদ্দিনের একটি, কক্সবাজার শহরের পেশকার পাড়া ফজল কোম্পানি, আমিনুল ইসলাম মুকুল ও শওকত ইসলামের তিনটি। বাকি ১১টি বোটের পরিচয় এখনো পাওয়া পায়নি।
আমিনুল ইসলাম মুকুল জানান, তার মালিকানাধীন এফবি সেন্টমাটিনে ১৭ জন জেলে ছিলো। তার মধ্যে ১২জন ফিরে এলেও বোটসহ ৫জন নিখোঁজ রয়েছে। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত অব্যাহত রয়েছে। আজ সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৬ ঘন্টায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকড় করা হয়েছে।
Posted ৬:০১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১০ জুন ২০১৮
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh