| মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট ২০২১
রফিক উদ্দিন বাবুল, উখিয়া
উখিয়ার রাজাপালং বটতলী হারাশিয়া খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি বর্ষায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ীর ঢলের ¯্রােতের টানে কোথায় যেন হারিয়ে যায় তা কেউ বলতে পারে না। যোগাযোগ সচল রাখার জন্য এলাকার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সোলতান আহমদ পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে বাঁশ, গাছ সংগ্রহ পূর্বক গ্রামবাসীর সহায়তায় ফের নির্মাণ করে বাঁশের সাঁকো। এভাবে চলছে শত বছর।
রাজাপালং, দোছরী, করইল্লাঘোনা, হরিণমারা, খালকাঁচাপাড়া, হারাশিয়া, বাগানপাড়া, খয়রাতিপাড়াসহ ৮ গ্রামের শিক্ষার্থী, মুসল্লীসহ প্রায় ২০ হাজার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে বর্ষায় আপন দেশে পরবাসের জীবনযাপন করতে হচ্ছে যুগযুগ ধরে। স্থানীয় গৃহবধু সুমি লজ্জা শরম ত্যাগ করে সাংবাদিকদের জানালেন, এ সাঁকো পার হয়ে উপার থেকে খাওয়ার পানি আনতে গিয়ে কতই না বিপদের সম্মুখিন হতে হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। দয়া করে আপনারা (সাংবাদিকেরা) লিখুন আমাদের এ দীর্ঘ বাঁশের সাঁকোটি অন্তত পক্ষে ফুটব্রীজে পরিণত হউক।
খালকাঁচা পাড়া গ্রামের শিক্ষার্থী ওসমান, সরওয়ার আলম, শামীম জানান, একটি মাত্র ব্রীজের অভাবে এপারে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে যেতে পারে না। খয়রাতিপাড়া গ্রামের মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল আমিন জানান, কোন প্রসূতি মায়ের আল্লাহর রহমতে যদি ভূমিষ্ট না হয় তাহলে তার মৃত্যু ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজাহান মেম্বার জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ বটতলী দোছরী হারাশিয়া খালের উপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এ এলাকার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সোলতান আহমদ জানায়, বেশ কয়েকবার আবেদন নিবেদন করার পর উপজেলা প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশ^স্ত করলেও তা শুধু লোকদেখানো। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে মোটর সাইকেল চলাচল করতে পারে। তাই এখানে ফুটব্রীজের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।
এডিবি/জেইউ।
Posted ৩:২০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট ২০২১
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh