নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ নভেম্বর ২০১৯ | ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ
নির্দিষ্ট সময়ে সিভিল মামলা নিষ্পত্তি বিষয়ক সেমিনারে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খাইরুুুুুুল হক বলেন, আমেরিকায় প্রতি ১০ হাজারের মানুষের জন্য আছে একজন বিচারক, ভারতে ৬৭ হাজার মানুষের জন্য আছে একজন বিচারক আর বাংলাদেশে ১লাখ ৬০ হাজার মানুষের জন্য আছে মাত্র একজন বিচারক। এর মধ্যেও পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের বিচারকদের চেয়েও বাংলাদেশের বিচারকরা বেশি মামলা নিষ্পত্তি করেন।
ই্উএনডিপি ও জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ৪৩ হাজার বিচারক প্রয়োজন কিন্তু আছে দেড় হাজার বিচারক। বিদেশি একজন বিচারকের ভাগে একশটি মামলা থাকে আর বাংলাদেশের একজন বিচারকের উপর ৪ হাজার মামলা থাকে। আদালতে কর্মচারি সংকট বেশি। কর্মচারিদের ফাইল লুকানোসহ নানা অনিয়ম রয়েছে। জারিকারকদের বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা কম। মিথ্যা মামলা দায়ের। হাইকোটে স্থগিতাদেশ দেয়া হয় এক বছরের বেশি। এসব সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, বিচারক সংকট থেকে সাময়িকভাবে রেহায় পেতে হলে অবসর প্রাপ্ত বিচারকদের আরো ৫ বছর দায়িত্ব দেয়া প্রয়োজন। বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করতে হবে। ডিজিটাল ট্র্যকিং সিষ্টেম চালু করতে হবে। যাতে সহজে বিচারক, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সঠিক তথ্য আদান প্রদান দ্রুত সময়ে করতে পারেন। বিচারক, আইনজীবী, কর্মচারিরা আন্তরিক হলে মামলা জট কমবে। সবাইকে পেছনে দৃষ্টি রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জেলা জজ নিয়মিত মনিটরিং করলে কমে আসবে মামলা জট।
১৮ নভেম্বর আয়োজিত এই সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, জেলা ও দায়রা জজ খন্দকার হাসান মো: ফিরোজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাজাহান আলী। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আ জ ম মঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন জুডিশিয়াল প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ট্রেনিং পরিচালক মো: গোলাম কিবরিয়া, আইন কমিশনের ফওজুল আজিম। সেমিনারে কী নোট উপস্থাপন করেন ইউএনডিপির প্রকল্প পরিচালক মো: মাসুদ করিম ও বিচার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. মো: মাহবুব মুরশেদ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির কক্সবাজার অফিস প্রধান ট্রেভোর ডি ক্লার্ক।
সেমিনারে অংশকারিদের বিচারকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ^াস, মাহমুদুল হাসান, মৈত্রী ভট্রাচার্য্য, ছৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন, আলাউল আকবর।
আইনজীবীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জিপি মো: ইসহাক, আবদুল আলা, শ্রীধর দত্ত বাদল, কামরুল হাসান, নেজামুল হক, শফিকুর রহমান।