নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৯
আজ ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জেলার ৫ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রেস্টিজ ইস্যু হিসেবে নিয়েছে প্রশাসন। গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি। যে কোন ভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেয়াই এখন প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য।
নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে পাশাপাশি নির্বাচন পরবর্তী কোন সহিংসতা দেখা না দেয়। সেজন্য কঠোর অবস্থান নেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন এবং পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন ব্যালট পেপারে হাত দেয়াসহ নির্বাচনে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলেই গুলি করা হবে।
জেলায় এবার স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আজ ৪৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পালন করবেন নির্বাচনী দায়িত্ব। পাশাপাশি প্রত্যেক উপজেলায় ১ জন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হচ্ছে। নির্বাচনী সহিংসতা দেখা দিলে ঘটনাস্থলেই দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই এই নিয়োগ।
ম্যাজিস্ট্রেটগণের পাশাপাশি মোতায়েন করা হচ্ছে আইনÑশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি মোতায়েন করা হচ্ছে ৩০ প্লাটুন বিজিবি। প্রত্যেক প্লাটুনে ৩০ জন করে বিজিবি সদস্যরা পালন করবেন নির্বাচনী দায়িত্ব। র্যাবের ৬টি টিমকেও মাঠে নামানো হবে। উপকূলীয় উপজেলায় টেকনাফ, পেকুয়া এবং মহেশখালীতে নামানো হচ্ছে কোস্টগার্ড সদস্যদের।
অনুষ্ঠিতব্য আজকের নির্বাচনে উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলায় রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা। অন্যদিকে পেকুয়া, মহেশখালী এবং রামু উপজেলায় রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ।
Posted ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৯
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh