মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া/এফ.এম. সুমন,পেকুয়া | বুধবার, ২৯ আগস্ট ২০১৮
চট্টগ্রামের পটিয়ার সাত জেলেকে মাছ ধরতে কক্সবাজারের পেকুয়ায় এনে চুরির অভিযোগ তুলে মাথা ন্যাড়া করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনার চারদিন পর নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পটিয়ার জেলে গোপাল সরদার বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় নুরুল আবছার ওরফে বদুসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ২৫জনসহ ৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে। সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের হয়। এই মামলার এজাহার নামীয় ৫জনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন, পেকুয়ার রাজাখালীর বামুলা পাড়ার মৃত বজল আহমদের ছেলে জামাল হোসেন (৩২), চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পুটিবিলা ইউনিয়নের তাঁতি পাড়ার মৃত আবদুল করিমের ছেলে আবুল কাশেম ও বাশঁখালীর জলদি ইউনিয়নের মহাজন পাড়ার নেপাল কৃষ্ণ শীল (৪০)। বাদী গোপাল সরদার বলেন, গত ২৪ আগস্ট মাছ ধরার কথা বলে আমিসহ ১২ জেলেকে রাজাখালীতে আনেন নুরুল আবছার প্রকাশ বদু মেম্বার। মাছ ধরা শেষে ফেরার পথে বদু মেম্বারের নির্দেশে আমিসহ ৭ জেলেকে আটকে রেখে নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে এলাকায় ঘুরানো হয়। এসময় আমাদের জিন্মি করে ধর্মবিরোধী বক্তব্যও আদায় করে তারা।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল ইসলাম খান তিনজনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এজাহার নামীয় অপর দুইজনকে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে অজ্ঞাত আসামীদের সনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তার করতে থানা পুুলিশের একাধিক টিম অভিযানে রয়েছে।
চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মতিউল ইসলাম বলেন, সাত জেলেকে নির্যাতন করায় লিপ্ত থাকা কেউই পার পাবেনা। সবাইকে গ্রেপ্তার করতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Posted ১:৫২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ আগস্ট ২০১৮
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh