শহীদুল্লাহ্ কায়সার | শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০১৯
প্রার্থীরা চান নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। যাতে থাকবে না কোন রাজনৈতিক প্রভাব। পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ কিংবা ভোট দেয়ার অপরাধে সইতে হবে না নির্যাতন। ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। বিজয়ী করতে সক্ষম হবে পছন্দের প্রার্থীকে।
নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দিতে হবে। কারো কিছু হলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে প্রশাসনকে। সেটি সম্ভব না হলে নির্বাচনের উপর মানুষের আস্থার সংকট সৃষ্টি হবে। আমাদের পক্ষেও নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ সম্ভব হবে না। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।
গতকাল ১৪ মার্চ ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে কক্সবাজারের প্রশাসনের সাথে মতবিনিময়কালে এমন আক্ষেপ গোপন রাখেননি প্রার্থীরা। চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যানের পদের প্রার্থীদেরও একটিই দাবি ছিলো নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
কয়েকজন প্রার্থী সাম্প্রতিক সময়ে প্রভাবশালী কর্তৃক নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে প্রচার কাজে অংশগ্রহণ, ইউপি সদস্যদের অর্থ প্রদান, প্রতিপক্ষের লোকজনকে হুমকি, লাইসেন্সধারী অস্ত্র নিয়ে প্রচারণায় অংশগ্রহণ, রঙ্গিন পোস্টার ছাপানোর মতো অভিযোগ আনেন প্রশাসনের সামনে।
প্রত্যুত্তরে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের আশ^াস দেয়া হয়। এই পরিবেশ বজায় রাখতে গৃহীত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথাও প্রার্থীদের জানানো হয়। মতবিনিময় সভায় প্রজক্টরের সাহায্যে আচরণ বিধি প্রদর্শন ও পড়ে শুনিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ মাসুদুর রহমান মোল্লা।
বিকেলে জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলাপ্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও কক্সবাজার সদর, উখিয়া, টেকনাফ এবং কুতুবদিয়া উপজেলার রিটার্নিং অফিসার মোঃ মাসুদুর রহমান মোল্লা, কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও চকরিয়া, পেকুয়া, রামু এবং মহেশখালী উপজেলার রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমেদসহ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন।জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, সবাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চান। প্রশ্নবিদ্ধ কোন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। নির্বাচনের দিন অন্ধের মতো আইন প্রয়োগ করা হবে। অধিকাংশ ভোটার যাকে যোগ্য মনে করবেন তিনিই বিজয়ী হবে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন দিয়েই এর শুরু হবে। শুরুটা ভালো হলে সব ভালো হবে।
কেউ পেশি শক্তি দিয়ে কিছু করলে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনবেন। নির্বাচন কমিশন থেকে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে খবর নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, অনষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। রাস্তাঘাটে কেউ মাস্তানি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তদন্তপূর্বক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। জেলা নির্বান কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমেদ বলেন, প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচন সারাদেশের মানুষের অভিনন্দন পেয়েছে। ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ১ম পর্যায়ের নির্বাচনগুলোর চেয়ে ভালো হবে। জেলার অন্য উপজেলাগুলোর জন্যও যা হবে মডেল।
Posted ১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০১৯
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh