দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮
ঝুম বৃষ্টির দেখা মিললো অবশেষে। প্রখর রোদে প্রাণ হাঁসফাঁস করা বন্ধ হয়েছে ঠিকই কিন্তু বৃষ্টির কারণে একটু আধটু সমস্যায়ও ভুগতে হচ্ছে।
বর্ষা মৌসুমে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। পরিণতিতে একটু বৃষ্টির পানি লাগলেই হাঁচি, কাশি শুরু হয়ে যায়। তাই খাবার তালিকার দিকে রাখতে হবে বিশেষ নজর। চলুন দেখে নেই এই সময়ে কী খাবেন এবং খাবেন না-
যা খাবেন:
বাদাম, কাঠবাদাম এবং খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বৃষ্টিতে ভিজলে হলুদ মেশানো দুধ খুবই কার্যকর।
হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বর্ষাদিনের ইনফেকশন থেকে দূরে রাখতে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দারুণ কাজ করে। বিভিন্ন রোগের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মোকাবিলা করতে পারে কেশরে থাকা রসায়নিক উপাদান।
ডিম ও ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঠান্ডার সমস্যা থেকে শরীরকে বাঁচাতে পারে প্রোটিন।
চেরি, জাম, পেস্তা, পিচ ফল এবং তালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বর্ষায় দুধে কেশর মিশিয়ে খেলে ঠান্ডার সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে থাকা যায়। বৃষ্টির দিনে স্যুপ খুবই কার্যকর খাবার।
কালোজিরা, আদা, গোলমরিচ এবং রসুনে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। রোগ-জীবাণু থেকে দূরে থাকতে পান করতে পারেন হার্বাল টি।
যা খাবেন না:
বর্ষায় বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে ডিপ ফ্রাই যে কোনও খাবারই বর্ষাকালে হজম করতে সমস্যা হয়। তাই এসময় এধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
রাস্তার পাশের দোকানের খাবার সুস্বাদু হলেও তা পেটে গেলে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। কারণ এর মধ্যে দেওয়া চাটনি বা মশলা আর্দ্রতার ফলে নষ্ট হয়ে থাকে। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
সিঙ্গারা-চপ ধরনের খাবারের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। শাকটাও এসময় এড়িয়ে চলতে বলেন পুষ্টিবিদরা। কারণ সহজে পচনশীল খাদ্য বর্ষায় যত কম খাওয়া যায় সেটিই ভালো।
দেশবিদেশ /২৫ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ২:২৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh