শহীদুল্লাহ্ কায়সার | বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২০
জেলাব্যাপী ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম চলছে। দেশের বৈধ নাগরিক হওয়া সত্তে¡ও ইতঃপূর্বে অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ হালনাগাদ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ ফরম পূরণে ভুলের কারণে বাদ পড়ে যান তাঁরা। হালনাগাদ ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাওয়া এই নাগরিকরাই কার্যক্রমের আওতায় রয়েছেন। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে গত কয়েকদিন ধরে নির্বাচন অফিসে ভিড় জমাচ্ছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ।
বাদ পড়া এসব নাগরিকরা গত কয়েকদিন ধরেই ভিড় জমাচ্ছেন জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যলয়ে। বৈধ নাগরিক এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে ইতঃপূর্বে আবেদন করা সত্তে¡ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি তাঁদের। এই কারণে দাবি ও আপত্তি আবেদন জমা দিতেই তাঁদের এই ভীড়। যাতে সংশোধিতব্য ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
্এই বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস.এম. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে হবে না। বিশেষ এলাকা হওয়ায় শুনানী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুনানীতে রোহিঙ্গা শনাক্ত হলেই ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন এসব দাবি ও আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য গত ২০ জানুয়ারি একটি পরিপত্র জারি করে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালে হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বিভিন্ন কারণে বাদ যাওয়া নাগরিকরা চলতি বছরের ৪ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত দাবি, আপত্তি ও সংশোধনীর জন্য আবেদন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ঠ জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর করতে হবে এই আবেদন।
এদিকে, হালনাগাদ ভোটার তালিকায় বাদ যাওয়াদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গঠন করা হয় সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ রিভাইজিং অথরিটি। কক্সবাজার জেলাকে দুইটি অঞ্চলে বিভক্ত করেই গঠন করা হয় এই কর্তৃপক্ষ। জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু এবং পেকুয়া উপজেলায় কর্তৃপক্ষের প্রধান হিসেবে পদাধিকারবলে দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আমিন আল পারভেজ। অন্যদিকে, কক্সবাজার সদর, চকরিয়া,উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলায় কর্তৃপক্ষের প্রধান হিসেবে পদাধিকারবলে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস.এম. শাহাদাত হোসেন।
এই কর্তৃপক্ষ আবেদনের উপর শুনানীর ব্যবস্থা করবে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আগামি ৫ ফেব্রæয়ারি উখিয়া, ৯ ফ্রেব্রæয়ারি চকরিয়া, ১০ ফেব্রæয়ারি টেকনাফ এবং ১১ ফেব্রæয়ারি কক্সবাজার সদর উপজেলার আবেদনকারীদের জন্য শুনানীর আয়োজন করবেন। শুনানী শেষে ১২ ফেব্রæয়ারির মধ্যে দাবি ও আপত্তি আবেদনগুলোর নিষ্পত্তি করা হবে। আগামি ২০ ফেব্রæয়ারির মধ্যে বৈধ হওয়া নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সেই তালিকা নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে আপলোড করা হবে। ২ মার্চ প্রকাশ করা হবে চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকা। পরবর্তীকালে যে তালিকা নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হালনাগাদ করা হবে।
Posted ১:২৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২০
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh