তারেকুর রহমান | বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২২
কক্সবাজারে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মামলার জামিনের জন্য আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আদালাত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের মুখ্য জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকীর আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত মকছুদ মিয়া মহেশখালী পৌরসভার তিনবারের নির্বাচিত মেয়র। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
মামলার বাদী আমজাদ হোসেন (৬৭) গোরকঘাটা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহেশখালী উপজেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার। গত পৌর নির্বাচনে মেয়র মকছুদের প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন তিনি।
মামলার এহাজারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর রাতে গোরকঘাটা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে লিডারশীপ স্কুল এন্ড কলেজের সামনে পৌঁছলে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন। এসময় তিনি দাবী করেন, তাঁর মালিকানাধীন চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে মকছুদ মিয়ার পরিবারের লোকজন প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মো. মোস্তফা জানান, হামলার ঘটনায় চিকিৎসা শেষে ২৬ নভেম্বর আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মেয়র মকছুদ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। যার নং-জি.আর ৩২৪/২১। এর আগে বিরোধীয় চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির অভিযোগে ২৪ অক্টোবর আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মেয়র মকছুদসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বর মামলার ১ নম্বর আসামি মেয়র মকছুদ মিয়া এ দুই মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন লাভ করেন। বুধবার শেষদিনে মামলা দু’টিতে জামিনের জন্য আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবেদন করলে আদালত চিংড়ি ঘেরে ডাকাতি মামলায় জামিন দিলেও মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ মামলায় বাকী আসামীরা পলাতক রয়েছেন।
কক্সবাজার কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক চন্দন কুমার দাশ জানান, আদালতে জামিন না মঞ্জুর হওয়া আসামি পৌর মেয়র মকছুদ মিয়াকে বিকালেই পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কক্সবাজার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গেল বছরের ২৪ অক্টোবর আমজাদ হোসেনের মালিকানাধীন চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আদালতের নির্দেশে তদন্তভার পান জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর ৩ নভেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহেদুল ইসলাম আরমানের নেতৃত্বে সরেজমিনে তদন্তে যান। এসময় ফাঁকা গুলিবর্ষন করে ঘেরে থাকা অস্ত্রধারীরা। গোয়েন্দা পুলিশ আত্মরক্ষার্থে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ মামলার এজাহারনামীয় সাত আসামি ১৭ জানুয়ারি আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাঁদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা কারাগারে রয়েছেন।
Posted ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২২
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh