টেকনাফ উত্তর সংবাদদাতা | বৃহস্পতিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডে ১৪টি ঘর পুঁড়ে গেছে। মঙ্গলবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকান্ডে ঘটনা ঘটে। গ্যাস সিলিল্ডার বিস্ফোরণে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় তেমন কেউ হতাহত হয়নি। তবে গোয়েন্দ সংস্থা এক ব্যক্তি জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে এক ঝুপড়ি বাড়িতে আগুন দিলে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। শাহ আমানত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক খালেকুজ্জামান রুবেল বলেন, প্রায় ২০ দিন আগে তৈরী করা ঘরগুলো সংশ্লিষ্টকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে আগুনে পূড়ে ১৪টি ঘর পুড়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতি পরিমান ২০ লাখে দাড়াঁবে বলেও জানান তিনি। টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর কর্মকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ১৪টি ঘরে বসবাসরত ২৮টি পরিবারের প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পরিধেয় বস্ত্র ও ত্রাণের খাদ্যদ্রব্য পুঁড়ে গেছে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত কুমার বড়ুয়া বলেন- টেকনাফের চাকমারকূল রোহিঙ্গা বস্তি থেকে কয়েক কিলোমিটার ভেতরে পাহাড়ে গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা বস্তির ১৪টি ঘরে আগুন লাগে। এখানে প্রতিটি ঘরে দুটি করে কক্ষ এবং প্রতিটি কক্ষে একটি করে পরিবার বাস করতো। বাঁশ, চট ও পলিথিনে তৈরি ঘরগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা লাগোয়াভাবে তৈরি করায় মুহূর্তেই সব ঘরে আগুন ছড়িয়ে যায়। ওসি আরও জানান, খবর পেয়েই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে সব ঘর ভস্মীভূত হয়ে যায় বলে স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান। তারা জানান, আগুনে ঘর পুড়লেও কেউ হতাহত হয়নি।
Posted ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh