| বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
দেশবিদেশ রিপোর্ট:
টেকনাফে র্যাবের সাথে গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা জকির সহ ৩ ডাকাত নিহত
৯ টি বন্দুক ও ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
বাংলাদেশী সিএনজি চালককে অপহরণ করে রোহিঙ্গাদের ৫ লাখ টাকা দাবি
কক্সবাজারের টেকনাফে দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত জকির বাহিনীর সাথে র্যাবের গোলাগুলিতে ডাকাত সর্দার জকির সহ তিনজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। এসময় র্যাবের এক সদস্যও আহত হয়েছেন। র্যাব সদস্যরা জকির বাহিনীর আস্তানা থেকে উদ্ধার করেছে ৯ টি বন্দুক ও ২৫ রাউন্ড গুলি। গতকাল মঙ্গলবার শেষ বিকালে টেকনাফের ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের পশ্চিম পার্শ্বের পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে একই এলাকায় র্যাবের সাথে যখন রোহিঙ্গা ডাকাত বাহিনীর গোলাগুলি চলছিল তখন আরেক রোহিঙ্গা ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে ব্যস্ত ছিল স্থানীয় একজন সিএনজি চালককে অপহরণের কাজে। দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা জকির বাহিনীর সাথে র্যাবের গোলাগুলি শেষ হতে না হতেই অপর রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সদস্যরা সাইফুল (৩৪) নামের স্থানীয় একজন সিএনজি চালক কে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। রোহিঙ্গা ডাকাত দল অপহৃত সাইফুলের মুক্তির জন্য ৫ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে একের পর এক ফোন দিচ্ছে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমদ জানিয়েছেন, নিহত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দ্দার জকির বাহিনীর প্রধান জকির আহমদ একজন ভয়ংকর ডাকাত। টেকনাফের পাহাড়ে যতগুলো রোহিঙ্গা ডাকাত বাহিনী রয়েছে তন্মধ্যে হাকিম বাহিনীর পরেই রয়েছে জকির বাহিনীর স্থান। জকিরের বিরুদ্ধে থানায় রেকর্ড করা মামলা রয়েছে ২০ টি। এসবের মধ্যে ১৫/১৬ টি হচ্ছে হত্যা মামলা। অন্যান্য মামলাগুলো হচ্ছে অপহরণ, ডাকাতি, ধর্ষণ ও মুক্তিপণ দাবির মামলা।
র্যাব সুত্রে আরো জানা গেছে, টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের পশ্চিমে পাহাড়ে জকির বাহিনীর আস্তানায় র্যাবের গোলাগুলির পর উদ্ধার করা অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২ টি পিস্তল, ২ টি বন্দুক ও ৫ টি ওয়ান শ্যুটার সহ ২৫ রাউন্ড গুলি। র্যাবের সাথে গোলাগুলিতে নিহতরা হচ্ছেন ডাকাত সর্দ্দার জকির আহমদ, তার আপন ভাই মোহাম্মদ হামিদ ও জকিরের চাচাত ভাই জহির আহমদ।
অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে প্রায় একই সময়ে শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের এফ বøক এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম (৩৪) নামের একজন সিএনজি ট্যাক্সি চালককে। অপহৃত সিএনজি চালকের ভাই তোফায়েল আহমদ ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, রোহিঙ্গা ডাকাত ছালামতুল্লাহর বাহিনীর ১০/১২ জন সশস্ত্র সদস্য অস্ত্রের মুখে তার ভাইকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গেছে।
অপহৃত সিএনজি চালকের ভাই তোফায়েল আহমদ জানান-‘ আমার ভাইকে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণকারিরা অস্ত্রের মুখে পাহাড়ে নিয়ে গেছে। আমি অপহরণকারিদের চিহ্নিত করে ডাকাত বাহিনী প্রধান ছালামতুল্লাহকে মোবাইল করে জানতে চাই অপহরণের কারণ। তিনি জানান, আমাদের কাজই অপহরণ করা। কেননা আমাদের টাকার দরকার।’
তোফায়েল আহমদ আরো জানান, পাহাড় থেকে অপহরণকারি ডাকাত সর্দ্দার ছালামতুল্লাহ তার কাছে ও অপহৃত সিএনজি চালকের স্ত্রী ছবুরা খাতুনের মোবাইলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছে। মুক্তিপণের টাকা নিয়ে তাদের টেকনাফের শামলাপুর নামক পাহাড়ী এলাকায় যেতে বলেছে। স্থানীয় হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি পুলিশকে অবহিত করেছেন।
এডিবি/জেইউ।
Posted ১:৫২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh