দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ০১ মে ২০১৯
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের ফলে ফণী প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। বুধবার (১ মে) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় ফণীর অবস্থান ছিল- মোংলা সমুদ্র বন্দর হতে ১০৯৫ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১,২৩৫ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার থেকে ১,১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল আমিন মল্লিক বলেন, ফণী এরইমধ্যেই সিভিয়ার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। এর কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ১৭০ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি এবং সমুদ্রে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এটির অবস্থান। ঘূর্ণিঝড়টি উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত করলেও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চল তার ছোবল থেকে রেহাই পাবে না।
কবে আঘাত হানতে পারে ফণী? এই প্রশ্নের উত্তরে আবহাওয়া অধিদফতরের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২ মে) আঘাত হানার ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির চরিত্র বিশ্লেষণ করে আমরা ধারণা করছি, শুক্রবারে উপকূলে আছড়ে পড়বে ফণী। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপকূলে যদি ফণী আঘাত হানে তবে বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। উপকূলে আঘাত হেনে এটি দুর্বল হয়ে পড়বে এবং কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি ঝরাবে।
বর্তমান গতিপথে থাকলে আগামী ৩ মে বিকেলে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের পুরী হতে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলভাগে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে। আর গতিমুখ বদল হলে শনিবার (৪ মে) দিবাগত ভোর রাত থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে এটি আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল আমিন মল্লিক জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের গভীরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
দেশবিদেশ/নেছার
Posted ৭:৩১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০১ মে ২০১৯
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh