নিজস্ব প্রতিবেদক, টেকনাফ | বৃহস্পতিবার, ০৩ মার্চ ২০২২
সুন্দর দ্বীপ আরো সুন্দর গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ১৩ সুপারিশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ চলমান রয়েছে। বিশ্বব্যাপি পরিচিত দেশের এক মাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন রক্ষায় নতুন করে আর কোন হোটেল ও অবকাঠামো করতে দেওয়া হবে না। মূলত দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনাসহ দ্বীপবাসিদের কথা চিন্তা করে এসব সুপারিশ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় কেন্দ্রে ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নে অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম। সভা পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ, চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ, টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফানুল হক চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ম্যাজিস্ট্রেট) নিরুপম মজুমদার, সেন্টমার্টিন বিজিবির বিওপির কমান্ডার ক্যাপ্টেইন মাসুদুর রানা, কোস্ট গার্ড স্টেশন লে. তারেক আহমেদ, পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সারওয়ার আলম, ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মাহাফুজুর রহমান ও ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বলেন, ‘দ্বীপের পরিবেশ অনুযায়ি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এখন পর্যন্ত ৯৬০ থেকে ১২০০ পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণে কাম্য। তবে এখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহ করে সেন্টমার্টিনে পর্যটক নির্ধারন করা হবে সেন্টমার্টিনে।
‘এই সভা ছোট হলেও এটির গুরুত্ব বেশি উল্লেখ করে সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বলেন, ‘কেননা দ্বীপ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সেটি বাস্তবায়নে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। মূলত দ্বীপে জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন এবং নতুন স্থাপনা বন্ধসহ সরকার খুব দ্রæত একটি নীতিমালা তৈরী করবে। জনগনকে সাথে নিয়ে এসব নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘দ্বীপে পরিবেশ রক্ষায় সকল শ্রেণীর পাশাপাশি স্থানীয় জনগন কাজ করে যাচ্ছে। দ্বীপ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখতে পরিবেশের কাজ চলমান রয়েছে। এখন থেকে স্বার্বক্ষিন আমাদের টিম কাজ করবে।’
চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ১৩ সুপারিশ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করছে। দ্বীপ রক্ষায় এখন থেকে বর্ষা মৌসুমে পালাক্রমে এখানে আমাদের লোকজন কাজ করবে।’
ডিসি মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনে কোন ধরনের দ্বীপে নতুন করে কোন অবৈধ ভবন করা যাবে না। দ্বীপের ব্যবস্থাপনার কমিটির মাধ্যমে সকল শ্রেণীর মানুষদের সাথে নিয়ে আমরা এই দ্বীপকে পরিচ্ছন রাখব। সরকার যে নীতিমালা করেছে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।’
Posted ১১:৩৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ মার্চ ২০২২
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh