দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | সোমবার, ০৪ মার্চ ২০১৯
সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ রোববার রাতে কার্যকর করা হয়েছে। রাত ১০টা ১ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়।
ওই আসামির নাম সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন। তাঁর বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা থানার মধ্য খোন্তাকাটা এলাকায়। রাতেই ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাইফুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জ্যেষ্ঠ জেল সুপার শাহজাহান আহমদ। তিনি বলেন, সকল বিধি-বিধান ও প্রক্রিয়া মেনে সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ এস আল আলী হত্যা মামলার আসামি সাইফুলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়।
২০১২ সালের ৫ মার্চ রাজধানীর গুলশানে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। খালাফ হত্যার ঘটনায় ৭ মার্চ গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ মামলার রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
Eprothom Aloনিম্ন আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে আসে। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। এর ওপর শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে আসামি সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। মো. আল আমিন, আকবর আলী ওরফে রবি, রফিকুল ইসলাম খোকনকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান অপর আসামি সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহম্মেদ। এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আসামি সাইফুল ইসলামের করা আবেদন ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
Posted ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ মার্চ ২০১৯
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh