দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৯
ফাইল ফটো
ঢাকায় হাসপাতালে ফেলে যাওয়া এক নারীর লাশের ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে চিকিৎসকরা তার পেটে প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় দেড় হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আনুমানিক ৪০ বছর বয়সী ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি। যারা তাকে নিয়ে এসেছিলেন, তারাও রেখেই সটকে পড়ায় তাদের পরিচয়ও মেলেনি।
নেশার বড়ি ইয়াবা পেটের ভেতরে নিয়ে পাচারের কয়েকটি ঘটনা ইতোপূর্বে ধরা পড়লেও মৃত কারও পেটে ইয়াবা পাওয়ার ঘটনা আগে শোনা যায়নি।
বুধবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে ওই নারীর ময়নাতদন্ত করা হয়। তখনই তার পেটে ইয়াবা পাওয়া যায় বলে কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান এ এম সেলিম রেজা জানান।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে বুধবার এই নারীর লাশ এসেছিল পাশের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে। তা নিয়ে এসেছিল শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।
শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, সোমবার সন্ধ্যার আগে দুজন লোক এই নারীকে হৃদরোগ ইস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
“কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখে মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা দেওয়ার পর ওই দুজন এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসার কথা বলে বেরিয়ে গিয়ে আর ফেরেনি।”
মঙ্গলবার সারাদিনও কেউ লাশ নিতে না আসায় পুলিশ তা গ্রহণ করে। এরপর বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় সোহরাওয়ার্দীর মর্গে।
ডা. সেলিম রেজা বলেন, “ময়নাতদন্ত করার সময় তার স্টমাকে বেশ কিছু প্যাকেট পাওয়া যার, যার ভেতরে ইয়াবা ছিল।”
তখন চিকিৎসকরা পুলিশকে ঘটনাটি জানান।
পুলিশ কর্মকর্তা আজাদ বলেন, “ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক লাশের পেটে ৫৭টি প্যাকেট ইয়াবা পায়, যার মধ্যে দুটি প্যাকেটে থাকা ইয়াবা গলে গিয়েছিল। বাকি ৫৫টি প্যাকেটে ১৫শ ট্যাবলেট পাওয়া যায়।”
এই নারীর পরিচয় বের করতে তার আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ।
পাশাপাশি তাকে নিয়ে আসা দুই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করদে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানান পরিদর্শক আজাদ।
Posted ১০:৩৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৯
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh