তারেকুর রহমান | সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে বালি থেকে উঠে এলো তিমির কঙ্কাল। রবিবার (২৭ জুন) বিকেলে কঙ্কালটি দেখে স্থানীয় লোকজন। প্রথমে দেখে স্থানীয় জেলেরা জানান, ২দিন ধরে সমুদ্রের ১ কিমি দূরে তিমির কঙ্কালটি ভাসছিল। অনেকেই মনে করেছিল এটি বড় একটা কাঠ। পরে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ছুটে গেলে দেখতে পাই এটি পুঁতে রাখা তিমির কস্কাল। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান জানান, তিমির শরীর থেকে মাংস সরানোর জন্য তিমি দুইটি সৈকতের বালিয়াড়িতে পুঁতে রাখা হয়েছিল দুইমাস আগে। তিমির কঙ্কাল থেকে সরে মাংসাশি বালির সাথেমিশে গেছে। আর জোয়ারের পানিতে বালি থেকে উঠে এসেছে তিমির একটি কঙ্কাল। ২য় তিমির কঙ্কালও এভাবে উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ৯ ও ১০ এপ্রিলে বিশাল আকৃতির ২টি তিমি ভেসে আসে ২৪ ঘন্টা ব্যবধানে। তিমি মাছের কঙ্কালগুলো সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসক কর্তৃক পুঁতে রাখা হয়েছিল। তারমধ্যে মাঝখানে স্রোতের কারণে পানির সাথে ভেসে যায় একটি তিমি। অনেকে মনে করেছিল এটি তৃতীয় তিমি । পরে জেলা প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় এটি দ্বিতীয় তিমি। এতোদিন পর পুঁতে রাখা দুইটি তিমির একটি কঙ্কাল বালি থেকে উঠে এসেছে। কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, ‘মাংস ছাড়া কঙ্কাল পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতি না। যদি কঙ্কালে মাংস থাকতো তবে পরিবেশের জন্য ক্ষতি হতো। এই তিমির কঙ্কাল মেডিসিনের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা গেলে ভালো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষণীয় বিষয় হিসেবে কাজ করবে। এবং দেশের গবেষণা কাজে লাগাতে পারে।’ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বলেন, পরবর্তীতে এগুলোকে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে এসব কঙ্কাল রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানেই সংরক্ষণ করা হবে তিমি দুইটির কঙ্কাল।
Posted ৩:২২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
ajkerdeshbidesh.com | ajker deshbidesh